শিক্ষাঙ্গন

বগুড়ায় পরীক্ষার্থীকে বহিস্কারের জের কেন্দ্র কক্ষের আসবাবপত্র ভাংচুর, পুলিশের মৃদু লাঠিচার্জঃ কেন্দ্র সচিবকে অব্যাহতি

বগুড়ায় পরীক্ষার্থীকে বহিস্কারের জের কেন্দ্র কক্ষের আসবাবপত্র ভাংচুর, পুলিশের মৃদু লাঠিচার্জঃ কেন্দ্র সচিবকে অব্যাহতি

বগুড়ার সোনাতলা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে নকল করার সময় হাতে নাতে ধরা পড়ায় সোনাতলা মডেল সরকারী স্কুল এন্ড কলেজের এক পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কেন্দ্র সচিব মনোয়ারুল ইসলাম জানান, ৩রা মে বুধবার বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসক এর প্রতিনিধি হিসেবে পরীক্ষা কেন্দ্রে জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এ.এস.এম কাউছার রহমান পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি কেন্দ্রের বাথরুমে সরকারী সোনাতলা মডেল স্কুল এন্ড কলেজের দুই পরীক্ষার্থীকে একসাথে দেখতে পায়। জিজ্ঞাবাদ ও সার্চ করে কবির সরকার কনক নামের পরীক্ষার্থীর পকেটে নকল পাওয়ায় তাকে বহিষ্কার করেন। এদিকে পরীক্ষা শেষে এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে পরীক্ষা কক্ষের আসবাবপত্র ভাংচুর করেন তার সহপাঠীরা। এসময় তারা কেন্দ্র সচিবকে লক্ষ করে নানান ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন আমরা শান্তি পুর্ণভাবে কেন্দ্র ত্যাগ করেছিলাম। হঠাৎ অতর্কিত ভাবে এখানে দায়িত্ব থাকা পুলিশ সদস্য আমাদের দুই সহপাঠীকে লাঠিচার্জ করেন। আমরা এঘটনার প্রতিবাদ ও বিচার দাবি করে কেন্দ্রের বাহিরে অবস্থান নেই। কেবা কাহারা কক্ষের আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে আমরা তা আমরা জানি না।

এদিকে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন আমাদের পরীক্ষা কেন্দ্রের ৫টি কক্ষের ১০টি ফ্যান দুটি দরজা ও বাথরুমের পানির ট্যাপ ভাংগা হয়েছে।

মূহূর্তের মধ্যে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদা পারভীন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কুরশিয়া আকতার ও থানা অফিসার ইনচার্জ সৈকত হাসান ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত ডাক্তার সহিদুল ইসলাম তাদের দেখে জানান দুই পরীক্ষার্থীরা বড় ধরনের আহত না থাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এরপর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওই প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলামের জিম্মায় ওই দুই পরীক্ষার্থীকে হস্তান্তর করেন।
এবিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ সৈকত হাসান বলেন লাঠিচার্জের মতো কোন ঘটনাই এখানে ঘটেনি। আমরা শুধু উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে নিবৃত্ত করেছি।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাঈদা পারভীন বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। এসেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। কেন্দ্রের সামনে অবস্থানরত সকল শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে বাসায় যেতে বলি।

কেন্দ্র সচিবকে অব্যহতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন রাজশাহী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তাকে অব্যহতি দিয়েছেন। এখন থেকে তার পরিবর্তে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রবিউল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button